এডিপি: বিদ্যুতে পাঁচ মাসে অর্ধেক প্রকল্পে অর্ধেক কাজ
বিদ্যুৎখাতে চলমান প্রায় অর্ধেক প্রকল্পে অর্ধেক কাজ হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮৫ প্রকল্পের মধ্যে ৪৫টার ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আর ৪৫ প্রকল্পের ৫০ ভাগের চেয়ে কম কাজ হয়েছে।
গত পাঁচ মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আছে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র স্থাপনের কাজ।
সূত্র জানায়, ৩১ প্রকল্পের কোনও কাজ হয়নি। এর মধ্যে ২১টা এডিপি ও ১০টা নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এবার এডিপিতে বিদ্যুতে ২২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎখাতে যে কাজ হচ্ছে তার অগ্রগতি সন্তোষজনক। এভাবে কাজ আগালেই লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হবে।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপিতে বিদ্যুৎ বিভাগের ৮৫টা প্রকল্প আছে। এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে আরও ১৬টা।
নভেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার দুই দশমিক ৭৭ ভাগ বেশি কাজ হয়েছে। এ সময়ে এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হয়েছে মোট বরাদ্দের ৪৭ দশমিক ৫৫ ভাগ।
নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোয় খরচ হয়েছে ৫২ দশমিক ৯ ভাগ। গড়ে খরচের পরিমাণ ৪৭ দশমিক ৭৭ ভাগ। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ ভাগ। গত বছর এই সময়ে অগ্রগতি ছিল ৩০ দশমিক ২১ ভাগ।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিদ্যুৎ খাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি বেশি। কারণ চলতি বছরের প্রকল্পগুলোতে অর্থছাড় হয়েছে দ্রুত।
পিডিবির ২১ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খরচ হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৪৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা (অগ্রগতি আট দশমিক ১৩ ভাগ)। আরইবি’র সাত লাখ ২৮ হাজার ২৩১ লাখ টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে তিন লাখ তিন হাজার টাকা (অগ্রগতির পরিমাণ ১৮ দশমিক ৪৩ ভাগ)।
একইভাবে পিজিসিবি’র ১৫ প্রকল্পের মোট অগ্রগতির পরিমাণ ২৩ দশমিক ৩৩ ভাগ। ডিপিডিসি’র ছয় প্রকল্পের ১১ দশমিক ৮৩ ভাগ, ডেসকোর পাঁচ প্রকল্পে এক দশমিক ৫৭ ভাগ, পাওয়ার সেলের এক প্রকল্পে ছয় দশমিক ২৫ ভাগ, ওজোপাডিকো’র তিন প্রকল্পে ৫৯ দশমিক ১৭ ভাগ, নওপজেকোর দুটো প্রকল্পে দুই দশমিক ৮২ ভাগ, ইজিসিবির পাঁচ প্রকল্পে এক দশমিক ৯৮ ভাগ, সিপিজিসিএল-এর তিন প্রকল্পে ১৪ দশমিক ৮৭ ভাগ ও আরপিসিএল-এর দুটো প্রকল্পে চার দশমিক ৫৮ ভাগ কাজ হয়েছে। তবে স্রেডা’র দুটো প্রকল্পের মাত্র এক ভাগ কাজ হয়েছে।
সংস্থাগুলোর মধ্যে শুধু এসপিএসসিএল-এর ৭টি প্রকল্পের কোনও অগ্রগতি হয়নি। বাকি ১৩টি সংস্থার ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে আছে ১ হাজার ২৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ের দুটি প্রকল্প। এগুলোর মোট ১৭ দশমিক ৬৪ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে।
৪৫ থেকে ৫০ ভাগ বাস্তবায়ন হওয়া প্রকল্পে আছে, — কনভারসন অব শাহাজীবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র, কনভারশন অব বাঘাবাড়ি ১০০ মেগাওয়াট, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকার দ্বিতীয় ব্লকের ভূমি উন্নয়ন সংরক্ষণ, পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং, মহেশখালী পাওয়ার হাব-এর ভূমি অধিগ্রহণ, কনস্ট্রাকশন অব খুলনা কোল বেজড পাওয়ার প্ল্যান্ট কানেক্টিং রোড এবং খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ অন্যান্য।