এপ্রিল-জুন মাসে মহামারীর আগের অবস্থায় ফিরবে জ্বালানি তেলের চাহিদা
ইবি ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, আগামী মাস থেকে জ্বালানি তেলের চাহিদা আরও বাড়তে থাকবে। ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন মাস নাগাদ মহামারীর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে চাহিদা।
জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও মার্কিন জ্বালানি প্রশাসনও সম্প্রতি এমনই তথ্য জানিয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছরের এপ্রিল-জুন মাস নাগাদ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেল হবে। এর আগে ২০১৯ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা এমন ছিল।
চলতি বছর জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাহিদা গড়ে দৈনিক ৩ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে কমে যায়।
কিন্তু অক্টোবর থেকে দৈনিক ১৬ লাখ ব্যারেল করে চাহিদা বাড়তে পারে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ৫২ লাখ ব্যারেল করে বাড়তে পারে। আগামী বছর আরও ৩২ লাখ ব্যারেল করে বাড়বে।
করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে যতটা স্বাভাবিক হচ্ছে, ততই বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের ব্যবহার বাড়ছে। করোনার শুরুতে জ্বালানির ব্যবহার অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বিশেষ করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে।
গতবছর করোনা একটু কমলে জ্বালানি তেলের ব্যবহার বেড়েছিল। পরে ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাবে আবার জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমে।
এখন আবার ব্যবহার বিশ্বব্যাপী বাড়বে বলে মনে করছেন উৎপাদনকারী দেশ গুলো।
করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে প্রায় প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবার আগের মত শুরু হতে চলেছে। দ্রুত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জ্বালানি তেলের ব্যবহারও দ্রুতই আগের অবস্থায় ফেরত আসবে।
চলতি বছরের শুরু থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়তে থাকে। কিন্তু জুলাইয়ে অন্যতম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী দেশ চীনে চাহিদা হঠাৎ করেই কমে যায়। এতে আন্তর্জাতিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এশিয়ায় করোনার ডেল্টার ধরনের সংক্রমণ এখনো থাকায় চাহিদা এখনো চাপের মুখে আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওপেক জোট বলছে, আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক ব্যবহার দৈনিক ১০ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছবে। মহামারীর আগের বছরের একই সময় ব্যবহারের পরিমাণ ছিল গড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৩০ হাজার ব্যারেল।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে শনাক্ত ও মৃত্যু কমছে। টিকাও দেয়া হচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণ। প্রায় প্রতিটি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে। আর এতেই বেড়ে যাচ্ছে জ্বালানির ব্যবহার। আর এই বাড়তি ব্যবহার আগের অবস্থানেই ফিরে যাবে সহসা।