এবার চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কোম্পানি
এবার চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কোম্পানি গঠন করলো বাংলাদেশ। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে এই কোম্পানির মূল কাজ। দুই দেশের মালিকানায় গঠন করা কোম্পানির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’।
আগামী ১৫ই অক্টোবর এই কোম্পানির প্রথম বোর্ড সভা ডাকা হয়েছে।
এই কোম্পানি পটুয়াখালীতে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। মার্চে চীনের সঙ্গে কোম্পানি গঠন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এমওইউ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।
প্রথম দফায় কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকবেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম। পাঁচ বছর পর পর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন হবে।
দুই দেশের সমান ভাগের শেয়ার থাকবে এই কোম্পানিতে। ছয়জন পরিচালক থাকবেন। বাংলাদেশের তিনজন, চীনের তিনজন। বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ সচিব ছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোম্পানির পরিচালক হবেন।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে প্রচলিত আন্তর্জাতিক ঋণের পাশাপাশি চীন সরকারের কাছ থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। যাচাইয়ের কাজ করছে চীনের প্রতিষ্ঠান এফইডিআই। নভেম্বরের মধ্যেই এই সমীক্ষা শেষ হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর শর্ত সাপেক্ষে ছাড়পত্র দিয়েছে।
প্রস্তাবিত তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার কাছে আন্দারমানিক এবং রামনাবাদ নদীর মোহনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে। ২০১৮ সালে এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদন করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সাথে যৌথভাবে কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। রামপালের এই কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে।