এবার রিমোট দিয়ে বিদ্যুৎ চুরি

বিদ্যুৎ চুরির অভিনব কায়দা ধরা পড়েছে। বিশেষ রিমোট তৈরী করে তা দিয়ে মিটার নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে। কিন্তু মিটার ঘুরছে না। তবে মিটার বন্ধ করতে কিছুই করা লাগছে না। শুধু আঙ্গুলের একটি চাপ। কেউ বুঝতেও পারবে না। টেবিলে থাকা মোবাইল কলিং বেলের মধ্যে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে রিমোট। আর সেই রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে বিদ্যুতের মিটার। যখন ইচ্ছে মিটার বন্ধ করা হচ্ছে। আবার যখন ইচ্ছে চালু। এতে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বিল উঠছে না।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ চুরি করছিল নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার ফ্লাক্সেন গ্রুপের ডায়িং কারখানা ফারিহা ফ্যাশন। ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) বিশেষ টাস্কফোর্স বৃহস্পতিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই চুরি উদঘাটন করে। টাস্কফোর্স প্রধান মুনীর চৌধুরী এই অভিযান পরিচালনা করেন।

ফারিহা ফ্যাশন ১০ লাখ ৫৪ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি করেছে। এজন্য কারখানার মালিক ও ফ্লাক্সেন গ্রুপের চেয়ারম্যান ফায়েজুর রহমানকে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই জরিমানার প্রথম কিস্তি হিসেবে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা আদায় করেছে ডিপিডিসি। ডিপিডিসির ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ পরিমান জরিমানা। এরআগ পর্যন্ত কোন গ্রাহককে এই পরিমান জরিমানা করা হয়নি।

ঐ কারখানায় যে যন্ত্র চলে তাতে প্রতিমাসে এক লাখ ৭০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৭০ হাজার ইউনিট। এই হিসাবে তারা ১০ লাখ ৫৪ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি করেছে।

ডিপিডিসি টাস্কফোর্স প্রধান মুনীর চৌধুরী জানান, ডিপিডিসি’র ইতিহাসে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে এটিই সর্বোচ্চ অর্থদন্ড। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিস্টেম লস কমিয়ে ডিপিডিসিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে টাস্ট‹ফোর্সের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যত বড়ই ক্ষমতাধর বা বিত্তশালী হোক, বিদ্যুৎ চুরির অপরাধে কাউকে রেহাই দেয়া হবেনা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।