এবার রোজায় মার্কেটে আলোকসজ্জা: এলএনজি এসেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি

এলএনজি আসায় এবার রোজায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ভালো থাকবে। তাই রমজান মাসে বিপনীবিতানগুলো এবার আলোকজসজ্জা করতে পারবে। দীর্ঘ দিনের নিষেধ এবার আর থাকছে না। তবে রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার নিয়ম আগে থেকেই শ্রম মন্ত্রনালয়ের আছে।
তবু গ্রীষ্ম আর রমজান মাস লোডশেডিং মুক্ত করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
আসন্ন রোজার সময় ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময় লোডশেডিং না করতে বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসময়  বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুম ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিপণী বিতানে আলোকসজ্জা করতে নিষেধ করা হয়নি।
এবিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ বলেন, রোজায় দোকানপাটগুলোতে আলোকসজ্জা নিয়ে আমাদের অতটা আপত্তি নেই। কেননা এখন বিদ্যুতের পর্যাপ্ত উৎপাদন রয়েছে। তবে আপনারা পরিমিত আলোকসজ্জা করবেন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের উপাদন যথেষ্ট বেড়েছে। এ মাসে আরও এক হাজার মেগাওয়াট যুক্ত হবে। এবারের রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি চলতি মাসেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান শুরু হবে।
বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে রোজায় রাত ৮টার মধ্যে বিপণি বিতান বন্ধের বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে এবিষয়ে আমরা কিছু বলছি না।
বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলোতে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকছে। রোজায় অর্থাৎ মে মাসের মাঝামাঝি থেকে তা আরও দুই ঘণ্টা বাড়ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর ফয়জুল্লাহ বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন ৯৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেয়া যাবে।
এছাড়া পিক আওয়ারে রি-রেলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন, ইস্ত্রির দোকানসহ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সরঞ্জাম বন্ধ রাখা, ইফতার ও সেহরির সময় শপিং মল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের এসির ব্যবহার সীমিত রাখার আহ্বান করা হয়।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বিতরণকারী সংস্থা, পেট্রোবাংলা, এফবিসিসিআই ও দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।