এলএনজিতে এবছর ৫/৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বছর ৫/৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি লাগতে পারে। আগামীবছর এভর্তূকি আরও বাড়বে।
রোববার নিজ মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন এণএনজিসহ সব মিলিয়ে গ্যাস উৎপাদন খরচ প্রতি হাজার ঘনফুট ১৪ টাকা। কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে সাত টাকা ১৭ পয়সায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলএনজি;র জন্য সরবরাহ করা গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে হবে।না হলে ভর্তুকি আরও বাড়বে।তবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দায়িত্ব এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ইতিমধ্যে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ৬০ কোটি ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। আরও ৬০ কোটি ঘনফুট এলএনজি যোগ হবে। গত বছর আগস্ট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। এ গ্যাসের দাম অনেক বেশি। নিজস্ব গ্যাসেই এখন ভর্তুতি দেই। অনেক কম দামে গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ করা হয়। যদি দাম সমন্বয় করা না হয় তবে চলতি অর্থবছরে ৫-৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। আগামী অর্থবছর ৭-৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি লাগতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়িতে গ্যাস ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছি। একটা বড় প্রকল্প নিয়েছি তাতে ঢাকা শহরসহ সব জায়গায় পুরনো গ্যাস লাইন উঠিয়ে নতুন লাইন করা হবে। সেখানে প্রিপেইড মিটার বসানো হবে। যাতে শতভাগ প্রিপেইড মিটার করা যায়।গ্যাসের সব মিটার দ্রুতই প্রিপেইড করা হবে। এতে জাইকা সহায়তা করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টার্গেট অনুযায়ী এগোচ্ছি। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষের চেয়ে বেশি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মাতারবাড়িতে স্থায়ী টার্মিনাল এবং এলপিজি টার্মিনাল- হলে গ্যাসের দাম অনেক সাশ্রয়ী হবে।তখন এলপিজিও সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে দেয়া যাবে। এটা করতে ৪/৫ বছর সময় লাগবে।
কয়লা টার্মিনাল করতে বেসরকারিভাবে জাপানের কোম্পানির সঙ্গে এক চুক্তি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাতারবাড়িতে কয়লা টার্মিনাল করতে চাই। কয়লা এনে ওখানে রাখা হবে, ওখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাবে। এটা নির্মাণের সমীক্ষা হয়েছে। মাতারবাড়িতে এসব প্রকল্পে জাপান আরও দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের অবস্থা তূলনামূলকভাবে ভালো। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছু সময় লাগবে। চীন সরকারের সাথে জি-টু-জি তে বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে পিছিয়েছে। এতে সার্বিক উন্নয়ন একটু পিছিয়ে গেলেও জনগণকে সর্বোত্তোম সেবা দিতে সরকার সর্বদা প্রস্তুত। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রথম ইউনিট অক্টোবর ২০১৯ থেকে উৎপাদনে আসবে বলে জানান তিনি।
এ সময় পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মো. হোসেইন উপস্থিত ছিলেন।