এলএনজি’র অর্থায়ন ও মূল্য নির্ধারণে ২ কমিটি
দেশে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আসছে আগামী বছর। নতুন এ জ্বালানি ব্যয়বহুল। তবে বিদ্যমান গ্যাস সংকট প্রশমন ও নিরসনে বিকল্প হিসেবে এলএনজি আমদানির উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এলএনজি আমদানি, পরিবহন ও সরবরাহে একদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন অন্যদিকে জনগণের উপর যেন গ্যাসের উচ্চমূল্যের চাপ না পড়ে তা সামলাতে চিন্তিত সরকার। এমন পরিস্থিতিতে এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন এবং এর মূল্য নির্ধারণে পৃথক দুইটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। দুই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এলএনজি আমদানি ও মূল্য নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলএনজি আমদানির অর্থসংস্থানসহ সামগ্রিক বিষয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) প্রতিনিধিকে সদস্য সচিব মনোনীত করে এলএনজি অর্থায়ন বিষয়ে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এলএনজির মূল্য নির্ধারণে গঠিত ১০ সদস্যের অপর কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সদস্য সচিব হিসেবে জ্বালানি বিভাগের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উভয় কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভবিষ্যত্ পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করবে সরকার।
বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী বছর কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের প্রথম এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণশেষে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানি কার্যক্রম শুরু হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ শুধু বিদ্যুেকন্দ্রের জন্যই দৈনিক ৩০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ আমদানির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও অর্থায়ন এবং দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের সাথে এলএনজির মূল্য সমন্বয় করা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তা না হলে গ্যাসের উচ্চমূল্যের চাপ পড়বে জনগণ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উপর। সেক্ষেত্রে এ গ্যাস সংকট নিরসনের বদলে নতুন সংকট হিসেবে দেখা দিবে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এলএনজি দাম ও বাজার স্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।