এলএনজির দাম নামল ১৪ ডলারের নিচে
নিজস্ব প্রতিবেদক/বিডিনিউজ:
সরকার খোলা বাজার থেকে এলএনজি এনে গ্যাসের সংকট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিশ্ববাজারে পণ্যটির দামও কমে এসেছে।
ফলে খোলা বাজারের এলএনজির সরবরাহ বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি পেট্রোবাংলা।
বৃহস্পতিবার (২৩শে মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এমএস এক্সিলারেট এনার্জি এলপির কাছ থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে এই এলএনজি কিনতে খরচ হবে ৫৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ১২২ টাকা।
তাতে প্রতি ইউনিট বা প্রতি এমএমবিটিইউ দাম পড়েছে ১৩ দশমিক ৬৯ ডলার। আগের কেনাকাটায় দাম ছিল ১৪ দশমিক ৬৬ ডলার।
আট মাস বিরতি দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনা শুরু করে সরকার। প্রথম কেনাকাটায় প্রতি ইউনিটের দাম পড়েছিল ২০ ডলারের কাছাকাছি। এরপর দাম ধীরে ধীরে কমে আসছে।
গত বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠায় প্রতি ইউনিট ৪০ ডলার দরে এলএনজি কিনতে হয়েছিল সরকারকে। পরে সেই দাম প্রায় ৫৬ ডলারে উন্নীত হয়। এক পর্যায়ে সরকারও এলএনজি কেনা স্থগিত রাখে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বলেন, আগামী জুনের মধ্যে খোলা বাজার থেকে ১২ কার্গো এলএনজি কেনার বিষয়ে তারা সরকারের সবুজ সংকেত পয়েছেন। এক্ষেত্রে কোনো মাসে প্রয়োজন হলে ২, ৩ এমনটি ৪ কার্গো এলএনজি কেনার ইচ্ছাও তাদের আছে। দৈনিক গ্যাসের সরবরাহ তিন হাজার এমএমসিএফডি ধরে রাখতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম সম্প্রতি কমে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য একটা স্বস্তির বিষয়।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে এদিন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসিকে মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট খরচ হচ্ছে ২৬২ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
একই দিন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার ১০৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ১২ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।