এলএনজি আমদানিতে ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ 

বঙ্গপোসাগরে ভাসমান তরল প্রাকৃতিক গ্যাস রূপান্তর জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এই ঋণ ছাড়ের অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়ায় পেট্রোবাংলা তহবিল সংকটে পড়েছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ দিয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এলএনজির দাম ৬ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩৯ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল করা হয়েছিল সরবরাহ খরচ কমানোর জন্য। এখন এই তহবিল থেকে টাকা ঋণের নামে নিয়ে উচ্চমূল্যের গ্যাস আমদানি করে খরচ বাড়ানো হচ্ছে।

দাম বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ আছে। গ্যাস-চালিত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে। এতে পরিকল্পিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

দীর্ঘমের্ঘয়াদী চুক্তির আওতায় ওমান ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। সেখানে মূল্য নির্ধারিত।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আদেশে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) তৈরি করা হয়েছিল। গ্যাসের দাম থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহকদের টাকায় এই তহবিল গঠন করা। গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য এই টাকা খরচ করার কথা।

বিইআরসি জুন মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলাকে তার দুটি মূল তহবিলে- জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল (ইএসএফ) এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) মোট ১২ হাজার ২২৭.৪৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

বিইআরসির রায় অনুসারে, পেট্রোবাংলাকে ইএসএফ তহবিলে ৯ হাজার ২২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং জিডিএফ তহবিলে তিন হাজার কোটি টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে।