এলএনজি ও সার কেনায় আরও সাশ্রয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সার ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি কিনতে আরেকটু ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে।
আগের চালানে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম পড়েছিল ২৬ দশমিক ৪০ ডলার; যেটার দাম এবার পড়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ ডলার। অন্যদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারে দাম কমেছে ১৭ টাকা করে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সবশেষ সার ও এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানে এই দুই পণ্যে আগের চেয়ে কিছুটা খরচ কমেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, সিঙ্গাপুরের ভিটল এনার্জির কাছ থেকে ৮৮৬ কোটি ৭৬ লাখ ৭ হাজার ৮৪০ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় গ্যাস আমদানিতে খরচ কিছুটা কমেছে।
এপ্রিলে প্রতি ইউনিট এলএনজি ২৯ দশমিক ২৫ ডলারে কেনা হয়েছিল- যা পরে ১০ শতাংশ কমে ১৮ই মে ২৬ দশমিক ৪০ ডলারে নেমেছিল। আর এপ্রিল মাসেও একই কোম্পানির কাছ থেকে মার্চের তুলনায় ২০ শতাংশ কম দামে একই পরিমাণ এলএনজি কিনেছিল পেট্রোবাংলা। আগের মাস মার্চে প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ৩৬ দশমিক ৭০ ডলার।
বৈঠকে বিসিআইসিকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি কাফকোর কাছ থেকে ১৮তম লটে ১৭৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকায় ৩০ হাজার টন ‘ব্যাগড গ্র্যানুলার’ ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুই সপ্তাহ আগে বিসিআইসিকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি- কাফকোর কাছ থেকে ১৭তম লটে ২২৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকায় ৩০ হাজার টন ‘ব্যাগড গ্র্যানুলার’ ইউরিয়া সার কেনা হয়েছিল। এতে প্রতি কেজি সারের দাম পড়ছে ৭৫ টাকা।
জিল্লুর রহমান বলেন, সারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আগের লটে প্রতি টন সার ৮৭৬ ডলারে কেনা হলেও এদিন কেনা হয়েছে ৬৭১ ডলারে।
গত বছরের তুলনায় এবার সারের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ভর্তুকিও বেড়ে গেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া আমদানিতে গড়ে ৯৬ টাকা, টিএসপি ৭০ টাকা, এমওপি ৫৪ টাকা ও ডিএপিতে ৯৩ টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের আমদানি মূল্য ছিল ৩২ টাকা, টিএসপি ৩৩ টাকা, এমওপি ২৩ টাকা, ডিএপি ৩৭ টাকা।