এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনা কোম্পানি

তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে চীনা কোম্পানি ওহুয়ান।তবে পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ি বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মহেশখালী দ্বীপের কাছে ভাসমান এ টার্মিনাল স্থাপনের কথা বলা হলেও তারা সাগরের তীরবর্তী এলাকায় এই টার্মিনাল স্থাপন করতে চায়।মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল বিদ্যুত্ ভবনে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এ আগ্রহ দেখায়।অন্যদের মধ্যে বিদ্যুত্ সচিব মনোয়ার ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাণ্ডবেইজ এই টার্মিনাল স্থাপন করতে তাদের চার বছর সময় লাগবে।এ সময় প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রকল্পে ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা তা বলতে ব্যর্থ হয়।বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী তাদের টার্মিনাল স্থাপনের সব বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর বলেন, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের বিষয়ে এর আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।সেখান থেকে একটি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হলেও পরবর্তীতে তা চূড়ান্ত করা হয়নি।এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুত্ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন ২০১২-এর আওতায় টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।এ অবস্থায় আগের কোম্পানির দরপ্রস্তাব বাতিল করা হবে কিনা অথবা নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, নতুন কোম্পানির প্রস্তাব দিতেই পারে।তবে বিষয়টি নির্ভর করছে আগের বিষয়টি সমাধানের ওপর।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে টার্মিনাল স্থাপনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছে অনুরোধপত্র (আরএফপি) পাঠায় পেট্রোবাংলা।এরমধ্যে ৪টি কোম্পানিকে মনোনীত করা হয়।কোম্পানি চারটি হলো ভারতের হিরানান্দিয়ানি, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জি, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের সিঅ্যান্ডটি কর্পোরেশন ও গোলার এলএনজি এনার্জি।১১ জুন ভারতের হিরানান্দিয়ানি, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের সিঅ্যান্ডটি কর্পোরেশন দরপ্রস্তাব জমা দেয়।এরমধ্যে এক্সিলারেটের দর সবচেয়ে কম ছিল।কিন্তু তারা পারফরমেন্স গ্যারাণ্টি (পিজি) কমিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়।এ কারণে মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না।

পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ী এ টার্মিনালে বছরে ৫ লাখ টন এলএনজিকে গ্যাসে রুপান্তরিত করা যাবে।পরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এ গ্যাস চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত আনা হবে।