এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণে আসছে আদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলা নতুন বছরের আগেই বাড়তে পারে বোতল গ্যাস বা তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)’র দাম। নতুন করে নির্ধারণ করা হচ্ছে এই দাম। আগামী ১২ই এপ্রিল নতুন দাম ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটনি কমিশন (বিইআরসি)।
গণশুনানির মাধ্যমে দেশে এই প্রথম এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল এনার্জি বাংলাকে বলেন, যে দাম ঘোষণা করা হবে তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সহনীয় হবে বলে আশা করি। সকল বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। রমজান এবং পহেলা বৈশাখের আগেই নতুন দাম ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।
গণশুনানির পর ৯০ দিনের মধ্যে রায় দেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। ১৪ই জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়। সে অনুযায়ী ১৪ই এপ্রিল ৯০ দিন শেষ হবে।
প্রতিবেশি দেশের সাথে মিল করেই এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণের নিয়ম করা হবে। সৌদি আরামকোর দামের উপর নির্ভর করে এশিয়া অঞ্চলের দাম। ফলে সেই দাম বাড়া কমার সাথে মিল রেখেই বাংলাদেশে এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণের নিয়ম করা হতে পারে।
সৌদি চুক্তিমূল্য বা সিপি এর সাথে জাহাজ ভাড়া (লোডিং/আনলোডিং খরচ, বন্দর চার্জ, ইত্যাদি), বীমা, কর, শুল্ক ইত্যাদি যোগ করে এলপি গ্যাসের দাম ঠিক হয়। এটা বন্দর পর্যন্ত মূল্য। বন্দরের পরে যোগ হয় মজুদ খরচ, বোতলজাতকরণ, পরিবহণ, বিতরণ ও বিপণন চার্জ। আর এই সব যোগ করেই ঠিক হয় ভোক্তার দাম। ভোক্তাকেও শেষে দিতে হয় ভ্যাট বা মূসক।
গেল ডিসেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ি, ১২ কেজি বোতল গ্যাসের জন্য তিনদফা ভ্যাট, করসহ গ্রাহককে দিতে হয় এক হাজার ২৫৯ টাকা। তবে অঞ্চল ও কোম্পানি ভেদে এই দামও ভিন্ন।
বিইআরসি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ
বোতল গ্যাসের দাম নির্ধারণে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দাম নির্ধারণের নিয়মের যে প্রস্তাব দিয়েছিল সেখানে বলা হয়, আমদানি খরচের সাথে যোগ হবে মজুদকরণ ও বোতলজাতকরণ খরচ। তার সাথে যোগ হবে বিতরণ, স্থানীয় পরিবহন, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের খরচ। সব শেষে যোগ হবে মূসক।