এলপি গ্যাসের বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা: সাউথ এশিয়ান সামিট উদ্বোধন

এলপি গ্যাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান করা হয়েছে। এর বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা। আর এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা।
রোববার আইসিসিবিতে সাউথ এশিয়ান এলপিজি সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এলপি গ্যাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সামিট উদ্বোধন করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপি গ্যাস) দাম কমাতে হবে। উন্মুক্ত করে দিয়েছি তার মানে এই নয় ইচ্ছামতো দাম বাড়াবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে এলপিজির দাম কমে গেছে। দাম আরও কমানোর সময় এসেছ। দাম কমাতে হবে। গ্রামের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে এলপিজি ব্যবহার করে। মাসে প্রতি পরিবারে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ পড়ে। এটা অনেক বেশি। ডিলার থেকে সাবডিলার, এজেন্ট এভাবে তিন হাত ঘুরে গ্রাহকের কাছে যেতে ৫০০ টাকা বেড়ে যায়। এটা আপনাদের মেটাতে হবে।

তিনি বলেন, বিপিসির অবস্থা খুবই খারাপ। বিপিসির কারণে ম্যানুপুলেট করার সুযোগ পাচ্ছে। যাচ্ছে তাই দাম বাড়াচ্ছে। এটা হতে পারে না। সংসদে বলেছিলাম ৩ বছরের মধ্যে সাশ্রয়ী দামে এলপিজি দিতে চাই। এটা কিন্তু এখনও নিশ্চিত হয়নি।তিনি বলেন, নীতি করা হবে কিভাবে সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করা যায়।

নসরুল হামিদ বলেন, এলপিজির জন্য গভীর সমুদ্রবন্দর করতে যাচ্ছি। এতে খরচ আরও কমে আসবে। শুধু বোটলিংয়ে বসে থাকবেন কেনো, শিল্পে বড় আবাসিকে বড় প্লানে পাইপ লাইনে এলপিজি দেন সহায়তা করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপ লাইনে গ্যাস শুধু শিল্পে এবং বিদ্যুতে দিতে চাই। শিল্প এলাকায় গেলে গ্যাসের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। অন্য কোথাও হলে দিতে পারবো না।

ইস্টকোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, এলপি গ্যাসের বিষয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। গত চার বছরে ৮০ হাজার টন থেকে বেড়ে ১০ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি কাজ করছে। আরও ১০ টি কোম্পানি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।

চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এর নিরাপত্তা ইস্যু। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ক্রস ফিলিং। এই ক্রস ফিলিং ঠেকাতে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। এর জন্য সরকার ও এলপিজি অপরেটররা যৌথভাবে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন আজম জে চৌধুরী।

তিনি বলেন, পাইপ লাইনের তুলনায় অনেক বেশি দাম এলপিজির। এলএনজি এনে রিগ্যাসিফিকেশন করতে হলে ১০ গুণ দাম বেড়ে যাবে। সরকার পাইপ লাইনে গ্যাস দিবে নাকি এলপিজি দেবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান, এফবিসিসিআই সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বক্তব্য রাখেন।

দুই দিনের এই সামিটে এলপিজি খাতের দেশী বিদেশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাউথ এশিয়ান এলপিজি সামিট একই বছরে একাধিক দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর হয়ে আসছে।