এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫শতাংশ: আইএমএফ

ইবি ডেস্ক/বিডিনিউজ:

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)।
আইএমএফ এর সবশেষ প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রক্ষেপন করা হয়েছে। আগামী বছর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে কোভিড ১৯ এর টিকা দেওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভালোর দিকে যাবে বলে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে অবশ্য কিছু বড় চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সমানভাবে টিকা দেওয়া শুরু করতে না পারার বিষয়টি।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংস্থাটির বসন্তকালীন বৈঠকের আগে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক’ নামের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। এতে সংস্থার সদস্য ১৮৮ দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রাক্কলন রয়েছে।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। আগের অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে।
আইএমএফের এ পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের চেয়ে বেশি। বিশ্বব্যাংক মনে করে, বাংলাদেশে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অবশ্য সংস্থাটি বলেছে, করোনা প্রতিরোধে চলমান টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতির ওপর তা নির্ভর করছে।
অবস্থার উন্নতি হলে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আবার অবনতি হলে তা ২ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে যেতে পারে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের এসকাপ সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
বাংলাদেশে অর্থবছর হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাব করা হয়। আর ওয়াশিংটন ভিত্তিক আইএমএফ পঞ্জিকা বছরের হিসাবে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
প্রতিবেদনে ২০২১ সালে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণের বেশি হওয়ার কথা বলা হলেও পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি অনেক কম হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ১২ শতাংশ এবং পাকিস্তানের মাত্র দেড় শতাংশ।
বিশ্ব অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে সংস্থাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ১।
অন্যদিকে গত বছর মহামারীর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকা একমাত্র দেশ চীন চলতি বছর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তবে পরের বছর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, মহামারী কালের ব্যাপক অনিশ্চয়তার মধ্যেও স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির সংকট উত্তরণের পথ এখন দৃশ্যমান। এ কারণে আগের প্রকাশিত পূর্বাভাস সংশোধন করে ২০২১ ও ২০২২ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
২০২১ সালে ৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বিশ্ব অর্থনীতি বাড়বে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। ইউরো জোনে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হারে।