ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধে উন্নত দেশকে এগিয়ে আসতে হবে

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বিশ্বের পরিবেশ নষ্ট করছে কিছু উন্নত দেশ। আর এর দোষ দেয়া হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। শুধু তাই নয় পরিবেশগত সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে আমাদের মতন উন্নয়নশীল দেশগুলো।
বুধবার আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ইউএনডিপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক ব্যারিসফোর্ড প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার ও ওজোনস্তর ক্ষয়কারী উপাদানের প্রভাবে ওজোনস্তরের ক্ষয় হচ্ছে। গত তিন দশক ধরে ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধে বিশ্বব্যাপী কাজ হচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধে সোচ্চার। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ওজোনস্তরের ক্ষয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। এ কারণে ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধ করতে হলে উন্নত দেশগুলোকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মনে করে ওজোনস্তরের ক্ষয় সারা বিশ্বের জন্য হুমকি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোই ওজোনসস্তরের ক্ষয়রোধে অনেক বেশি অবদান রাখছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে একা ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব নয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারোয়ার ইমতিয়াজ হাশমি বলেন, ১৯৯৬ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চেয়ারম্যান করে ‘ওজোন সেল’ গঠন করে বাংলাদেশ। ওই সেল বাংলাদেশে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সেমিনার ছাড়াও আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শ্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ মেলাসহ ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৪৫ জনকে পুরস্কার দিয়েছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ওজোনস্তর রক্ষায় মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষরিত হয়। এরপর থেকেই এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।