ওপেকের উৎপাদন কমানোর ঘোষণায় তেলের দাম বাড়তি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
তেল রপ্তানিকারক দেশের জোট ওপেক+ এর কয়েকটি সদস্য দেশ তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সে কারণে বিশ্ববাজারে আবার তেলের দাম বেড়েছে।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ‘সতর্কতা’ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওপেক।
গত ১৫ মাস ধরে অল্প অল্প করে তেলের দাম কমে স্বাভাবিক অর্থাৎ আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই কমার ধারা বন্ধ হলো। আমদানিকারক দেশগুলো যে স্বস্তির মুখ দেখতে যাচ্ছিল তা বন্ধ হলো। এতে আবার তেল আমদানিকারক দেশগুলোর অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পর সোমবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৪ দশমিক ১ ডলার হয়েছে। যা চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত মাসে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারে নেমে এসেছিল। যা ১৫ মাসের মধ্যে ছিল সর্বনিম্ন।
চলতি বছরের মে থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন দশ লাখের চেয়ে বেশি ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করা হবে। এর আগে গত অক্টোবরে দিনপ্রতি তেল উৎপাদন ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল ওপেক।
রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদি আরব এবং অন্যান্য ওপেক ভুক্ত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো আরও প্রায় ১০ লাখ ১৬ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে দৈনিক ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হবে যা বিশ্বব্যাপী চাহিদার ৩ দশমিক ৭ শতাংশের সমান।
সৌদি আরব বলেছে তারা দৈনিক ৫ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাবে। ইরাক প্রতিদিন দুই লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এক লাখ ৪৪ হাজার, কুয়েত এক লাখ ২৮ হাজার, কাজাখস্তান ৭৮ হাজার, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল কম তেল উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে৷
এই সিদ্ধান্তকে আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেকের এই সিদ্ধান্তকে অবাঞ্ছিত বলে আখ্যা দিয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া দিনপ্রতি তেল উৎপাদন পাঁচ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।