ওড়িশায় ফণীর তাণ্ডব, ৩ জনের মৃত্যু
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ওড়িশায় শত শত গাছ উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় রাজ্যের বেশির ভাগ অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী তীর্থ নগরী পুরীর ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে গোপালপুর আর চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে।
ওই সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড়টি এখন পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার বিষ্ণুপদ বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত রাজ্যে দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছি। তাদের মধ্যে এক বৃদ্ধা আমাদের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে হৃদরোগ জনিত কারণে মারা গেছেন। অন্য একজন আমাদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঝড়ের মধ্যে বাইরে বের হন এবং গাছ চাপা পড়ে মারা যান।”
গাছের নীচে চাপা পড়া ওই কিশোরের বাড়ি পুরীতে। এছাড়া নৈয়াগড়ে নির্মাণাধীন একটি স্থাপনা থেকে ইট পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ওড়িশা উপকূল থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজস্থানে এক নির্বাচনী র্যালিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে আশ্বস্ত করে বলেন, “পুরো দেশ এবং কেন্দ্র আপনাদের পাশে আছে।”
গত মাস থেকে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মোট সাত দফায় এই ভোট গ্রহণের পঞ্চম দফা ভোট হবে আগামী সোমবার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝড়ের কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সব ধরণের নির্বাচনী র্যালি বাতিল ঘোষণা করেছেন।