কমনওয়েলথের দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যাগুলো মোকাবেলা করবে

কমনওয়েলথভূক্ত সদস্য দেশগুলো একটি কাঠামোর আওতায় ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলো মোকাবেলা করবে।
কর্মশালায় কমনওয়েলথভূক্ত সদস্য দেশগুলোর সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘কমনওয়েলথভূক্ত অনেক উন্নয়নশীল ও দরিদ্র রাষ্ট্র ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। সুতরাং সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে কমনওয়েলথভূক্ত সদস্য দেশগুলো এই ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি কাঠামো নিশ্চিত করতে পারে।’
৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এসোসিয়েশন (সিপিএ) সম্মেলনের আজ ৬ষ্ঠ দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে কমনওয়েলথ দেশসমূহের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় সংসদ সদস্যরা এসব বলেন।
কর্মশালার সঞ্চালক সেন্ট হেলেন দ্বীপপুঞ্জের সংসদ সদস্য ডেরেক থমাস ওয়ার্কশপ শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ওয়ার্কশপে আমরা দু’টি সুপারিশ গ্রহণ করেছি। সুপারিশ গুলো হলো- কমনওয়েলথভূক্ত সদস্য দেশগুলো একটি কাঠামো নিশ্চিত করবে যা ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবেলা, প্রত্যেক অঞ্চলে তা বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সম্মেলনে সাম্প্রতিক তথ্য উপাত্ত তুলে ধরবে। এছাড়া কার্বন নি:সরণে আইনগত সংস্কার, বিভিন্ন পলিসি বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ ও সম্পদ সচলকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখা যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক হবে।’
কর্মশালায় মূল আলোচক ছিলেন, গায়ানার ড. বার্টন ড্রেক এমপি ও জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির প্রধান মারিয়া মংগোইট। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, তাজুল ইসলাম, এডভোকেট সানজিদা খানম, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী ও ডা, এনামুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার সঞ্চালক ডেরেক থমাস বলেন, সকল সদস্য রাষ্ট্র পরামর্শগুলো অনুমোদন করেছে, যা কমনওয়েলথ দেশসমূহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশগুলো প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সুতরাং আমাদের সকলের উচিত এই পৃথিবীকে রক্ষায় কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা।
মারিয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর উচিত দরিদ্র দেশগুলোর প্রতি তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার হাত প্রসারিত করা। সিপিএ যে দু’টি সুপারিশ গ্রহণ করেছে, আমি মনে করি এগুলো এই সমসা মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর হবে।
সংসদ সদস্য এনামুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে উন্নত-অনুন্নত সকল দেশেরই উচিত সবুজ জ্বালানী ব্যবহারের বাড়ানো।
তিনি বলেন, এই বিষয়টি মাথায় রেখে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার সবুজ জ্বালানীকে উৎসাহিত করছে।
ড. এনামুর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকার ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটিজি এন্ড এ্যাকশন প্ল্যান (বিসিসিএসএপি) ২০০৯’, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসিলেন্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ) এবং ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট এ্যাক্ট-২০১০’সহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।