কর্ণফুলী গ্যাস: অতিরিক্ত আয়, দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই

একটি কোম্পানির ব্যয়ের তুলনায় যে পরিমাণ আয় হওয়া দরকার, তারচেয়ে বেশি করছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। আয় বেশি থাকায় কোম্পানির গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি।
রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানীতে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খানের সভাপতিত্বে শুনানি পরিচালনা করেন কমিশনের দুই সদস্য মো. মাকসুদুল হক ও রহমান মোরশেদ। ভোক্তাদের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, জোনায়েদ সাকিসহ অন্যরা।
গত ১৯ মার্চ বিইআরসির কাছে প্রতিঘনমিটার গ্যাস ২৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৯ পয়সা করার প্রস্তাব দেয় কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি। মুল্যায়ন প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোম্পানিটি দাম বাড়ানোর বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।  ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তাদের আয়ের চাহিদা ধরা হয়েছে ১৫৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কিন্তু বর্তমান আয় বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে, তাদের আয় হবে আনুমানিক ১৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই অর্থবছরে তাদের বাড়তি আয় হবে ২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ অবস্থায় কর্নফুলী গ্যাস কোম্পানির গ্যাসের সরবরাহ চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
শামসুল আলম বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে প্রতিটি কোম্পানি যেসব কথা বলছে তার সবই অযৌক্তিক। দাম বাড়ানো দরকার তাই প্রসÍাব দিয়েছে। কিন্তু কেন বাড়ানো দরকার তার কোনো নির্দিষ্ট কারণ তারা হাজির করতে পারছেন না। তিনি বলেন, বেশিরভাগ গ্যাস কোম্পানি লাভ করছে। একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ঘাড়ে বোঝা দেয়ার কোনো মানে নেই। কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হচ্ছে। এমনকি গ্যাস বিক্রিতেও তারা লাভ করছে। এ অবস্থায় তাদের গ্যাসের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।
কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর রহমান বলেন, কোম্পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কমিশন আমলে নিয়েছে। মূল্যায়ন কমিটি এবং ভোক্তাদেরও মতামত পাওয়া গেছে। এখন কমিশন বিবেচনা করবে যে, এইসব লাভে থাকা কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়াবে কিনা।