কাতারকে এলএনজি আমদানির সমঝোতার সময় বাড়ানোর আহবান

কাতার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে যে সমঝোতা হয়েছে তার সময় বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ রোববার কাতারের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রী ড. মোহাম্মেদ সালেহ আল সাদা-এর সাথে তাঁর দোহার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই আহবান জানান।
২০১১ সালে কাতারের সাথে সেখান থেকে এলএনজি আমদানির জন্য সমঝোতা করা হয়। কিন্তু সে সমঝোতা অনুযায়ি এখনও এলএনজি আমদানি সম্ভব হয়নি। এজন্য সময় বাড়ানোর আহবান করা হয়েছে।
এলএনজি টার্মিনাল হলেই এই তরল গ্যাস বাংলাদেশ আমদানি শুরু করবে বলে কাতারের মন্ত্রীকে জানানো হয়।
কাতারও বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানি করতে ইচ্ছুক। একই সাথে তারা বিনিময়ে আ্গ্রহী অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এনার্জি বাংলাকে এতথ্য জানান।
১৬তম দোহা সম্মেলনে (২১-২৩ মে ২০১৬) অংশ নিতে বিদ্যুৎ ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এখন কাতারে অবস্থান করছেন।
উভয় মন্ত্রীর মধ্যে দুই দেশের পারষ্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কাতারের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রী প্রথমেই বাংলাদেশের প্রসংশা করে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা থাকা স্বত্তেও বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রবৃদ্ধির হার অসাধারণ।
এ সময় তাঁরা জ্বালানি ও বিনিয়োগ –এর বিভিন্ন অবস্থা ও অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন।

নসরুল হামিদ কাতারের মন্ত্রীকে এ সময় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা দেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কাতারের বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। কাতারের সাথে সরকারিভাবে এলএনজি আমদানি ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সহায়তা আদান-প্রদানের জন্য স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বর্ধিতকরণ নিয়েও আলোচনা করা হয়। তিনি, কাতারের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রীকে তাঁর সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশে সফর করার আমন্ত্রণ জানান।
আলোচনাকালে অন্যান্যের মাঝে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশহূদ আহমেদ, কাতারের রাষ্ট্রীয় সংস্থা রাশগ্যাসের নির্বাহি প্রধান কর্মকর্তা মোবারক আল মোহানাদি ও জালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহসান জব্বার উপস্থিত ছিলেন।