কার্বন নিঃসরন কমাতে পদযাত্রা করল বাংলাদেশ
কার্বন নিঃসরন কমাতে পদযাত্রা করল বাংলাদেশ। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এই পদযাত্রা। শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হয়ে পদযাত্রাটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমানোর চেষ্টা চলছে। অনেক উন্নত দেশ প্রতিশ্র“তি দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না। তাই জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের ক্ষতিপুরণ আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। জলবায়ু সহায়তায় অর্থ পেলেও বাংলাদেশ বাঁচবে না যদি তার সার্বিক পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত না হয়।
পদযাত্রায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুলাহ আবু সায়ীদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, গণ জলবায়ু পদযাত্রা বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, স্থপতি ইকবাল হাবীবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও জলবায়ু গণ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক জলবায়ু পদযাত্রা’ এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে এ পদযাত্রা করা হয়েছে।
আবদুলাহ আবু সায়ীদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিবেকবান মানুষকে বিবেকহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কার্বন নিঃসরণের যে চেষ্টা চলছে তাতে প্রতিরোধ আছে। সেখানে লোভ বারবার শুভ বুদ্ধিকে পরাজিত করে চলছে। এটি ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, প্রকৃতিকে নির্যাতন করলে প্রকৃতিও এর প্রতিশোধ নেবে। দুর্বার তার“ণ্যকে পরিবেশ দুষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে উন্নত রাষ্ট্র পরিবেশ দুষণ রোধে ভূমিকা রাখবে।
পদযাত্রা শুরুর আগে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে অংশ নিতে হবে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত সব দেশের কার্বন নির্গমন কমাতে লক্ষযমাত্রা নির্ধারণে সোচ্চার হতে হবে যাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, সুন্দরবন ঘূর্ণিঝড়ের মুখে বিশাল রক্ষাবর্ম। অথচ প্রকৃতি ও বন বিনাশী কয়লাভিত্তিক রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে। জলবায়ু সহায়তায় লক্ষ কোটি টাকা বিদেশি অর্থ পেয়েও বাংলাদেশ বাঁচবে না যদি তার সার্বিক পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত না হয়।