কিছুটা কমে কেনা হচ্ছে এলএনজি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আন্তর্জাতিক বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম কিছুটা কমেছে। তাই মার্চ মাসের চেয়ে ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ কম দামে এলএনজি কেনা গেছে। প্রতি ইউনিট বা ১ এমএমবিটিইউর দাম পড়েছে ২৯ দশমিক ২৫ ডলার।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি বিভাগের এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

সিঙ্গাপুরের ভিটল এনার্জির কাছ থেকে প্রায় ৯৯১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউর সমপরিমাণ এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২৩শে মার্চ একই পরিমাণ এলএনজি কেনা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২৪১ কোটি ৪৯ লাখ টাকায়; যাতে প্রতি ইউনিটের দাম পড়েছিল ৩৬ দশমিক ৭০ ডলার।

সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে গত বছর এপ্রিলে একই পরিমাণ এলএনজি কিনতে খরচ হয়েছিল ২৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। একই বছর ৬ই অক্টোবর গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে প্রতি ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি ৩৬ দশমিক ৯৫ ডলার মূল্যে কিনতে হয়েছিল। সেটাই ছিল বাংলাদেশের কেনা এলএনজির সর্বোচ্চ মূল্য।

সভায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দুই কিস্তিতে জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সামিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার ভূমি সায়েক পুশাকো জাপিনের কাছ থেকে ৩ হাজার ২৭৪ কোটি ৩২ লাখ টাকায় ৩ লাখ টন গ্যাস অয়েল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

৫০০ পিপিএম গ্যাস অয়েলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬ দশমিক ৯০ ডলার এবং ৫০ পিপিএম গ্যাস অয়েলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৫ দশমিক ৫০ ডলার পড়েছে।

বিপিসির আরেক প্রস্তাবে ৭৮০ কোটি টাকায় ইউনিপ্যাক সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টন (জেট এ-১) জেট ফুয়েল কেনা হয়েছে।

জেট ফুয়েলের দাম মে মাসের জন্য প্রতি ব্যারেল ১০ দশমিক ৮৬ ডলার এবং জুন মাসের জন্য ১০ দশমিক ৩৩ ডলার ধরা হয়েছে।

কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) প্রস্তাবে ওসিপি মরক্কোর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার ৩ কোটি ৭৫ হাজার ডলার বা ২৫৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রস্তাবে কাতারের মুনতাজাতের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার ২৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকায় এবং সিঙ্গাপুরের আরিস ফার্টিলাইজার্স গ্রুপের কাছ থেকে ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড মোট ১০০ কোটি ৮০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সভায়।