কোন নাশকতার প্রমান পাওয়া যায়নি
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে নাশকতার কোন প্রমান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারিগরি বিষয় দেখার পাশাপাশি কেউ নাশকতা করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু নাশকতার বিষয়ে কারো কোন সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এবিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রিড বিপর্যয়ের নিদিষ্ট কারণ জানার পর গোয়েন্দা সংস্থা আরও অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। সরাসরি নাশকতার কোন কিছু পাওয়া যায়নি। কারিগরি সমস্যা নিদিষ্টভাবে জানার পরে আবার তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিতরণ ও উৎপাদনের সাথে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিষয়ে খোঁজ নেয়া হয়েছে। এবিষয়ে আরও খোঁজ নেয়ার কাজ চলছে।
সরকারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থা নাশকতার বিষয়টি তদন্ত করছে। তারা পিজিসিবি ও পিডিবিসহ বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের ব্যক্তিগত এবং চাকরি জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের বিপর্যয়ের পর গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ভেড়ামারায় অবস্থান করে এ বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর রাখছেন। জানা গেছে, ইতিমধ্যে একটি গোয়েন্দা সংস্থা পাঁচ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ঢাকায় জমা দিয়েছেন।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা প্রতিবেদন বিষয়ে বলেন, সার্বিক বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। বিপর্যয়ের পর সারা দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের নাম ঠিকানা পরিচয় সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ চলছে। নাশকতা কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য একাধিক দল কাজ করছে।