কয়লা পরিবহণে ড্রেজিংয়ের কারণে হুমকিতে সুন্দরবনের নদী

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সরকারের তৈরি প্রতিবেদনে কয়লা পরিবহন ও নদী খননের ফলে জলজ পরিবেশের ওপর সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে মত দিয়েছেন দুই বিদেশি বিশেষজ্ঞ।

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির অনুরোধে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে জলজ পরিবেশবিদ যুক্তরাষ্ট্রের ড. উইলিয়াম ক্লায়েন্ডল ও অস্ট্রেলিয়ার ড. জন ব্রুডির মূল্যায়ন প্রতিবেদনের সারাংশ শনিবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে সংবাদ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদী খননের ফলে সৃষ্ট পরিবেশের হুমকিগুলোর বিষয়ে সরকার পর্যাপ্ত মূল্যায়ন করেনি; সেগুলি নিরসন ও হ্রাস করার জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনাও নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ সরকার ড্রেজিং করা পলি-কাদা কোথায় ডাম্পিং করবে তা সুনির্দিষ্ট করেনি এবং খননের ফলে জলজ প্রজাতিসমূহের উপর হুমকিও মূল্যায়ন করেনি।

রামপাল প্রকল্পের পরিবশেগত প্রভাব পর্যালোচনা (ইআইএ) প্রতিবেদনে বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদী দিয়ে কয়লা পরিবহনের হুমকি চিহ্নিত করে সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে মোকাবেলা করার বিষয়ে সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।

প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, কয়লা পরিবহনে দুর্ঘটনা জরুরিভাবে মোকাবেলার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আকরাম পয়েন্টে কয়লা ট্রান্সশিপমেন্ট থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি মোকাবেলার ব্যবস্থাগুলো নিয়ে পর্যাপ্ত পর্যালোচনা করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে বাপার সহ-সভাপতি রাশেদা কে চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুল মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম ও ভূগোল পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস এসময় উপস্থিত ছিলেন।