কয়লা রপ্তানি: আপাতত নিষেধাজ্ঞা তুলছে না ইন্দোনেশিয়া
ইবি ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়া আপাতত কয়লা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলছে না। নিজেদের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
১লা জানুয়ারি কয়লা রপ্তানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইন্দোনেশিয়া। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য কয়লার মজুদ কমে যাওয়া এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত মানছে না বলে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা পেরুসাহান লিস্ত্রিক নেগারার (পিএলএন) এর কয়লা মজুদ কমে যাওয়ায় জাভা ও বালি দ্বীপের মতো এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই নিরাপদ অবস্থায় থাকতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা রপ্তানিকারক ইন্দোনেশিয়া। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করে। ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় দেশগুলোতে বিদ্যুৎঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুততম সময়ে কয়লা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাকার্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বিশেষ বিবেচনায় আগে থেকে কয়লাভর্তি ৩৭টি জাহাজকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে তারা।
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা পেরুসাহান লিস্ত্রিক নেগারার (পিএলএন) কয়লা মজুত ‘নিরাপদ অবস্থায়’ রয়েছে। এ কারণে আগের কয়লাবোঝাই ৩৭টি জাহাজকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দেশছাড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কয়লাবোঝাই জাহাজগুলো বন্দরে বেশিদিন রাখা বিপজ্জনক। তাই ‘আগুন লাগার ঝুঁকি এড়াতে’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ি উৎপাদিত কয়লার অন্তত ২৫ শতাংশ স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু সরবরাহকারীরা তা করছে না। নিষেধাজ্ঞা দিতে এটাও একটা কারণ বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালে যেসব কোম্পানি তাদেও রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিতে কয়লা সরবরাহ করেছে তাদের কয়লা রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।