গরমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সারকারখানা বন্ধ থাকবে

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, গরমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সারকারখানা বন্ধ রাখা হবে। তবে শুধু যমুনা সারখানা চলবে। এবার গরমে বড় ধরণের কোন সংকট তৈরী হবে না। অনেক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এজন্য চাহিদাও বেড়েছে। এতে কোন কোন এলাকায় একটু সংকট তৈরী হলে তা মেনেই নিতে হবে।
বুধবার বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। এসময় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শহীদ সরওয়ারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সার কারখানা বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস দেয়া হবে। এতে উৎপাদন স্বাভাবিক থাকবে। সেচে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
এ সময় বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, খাদ্য উৎপাদনকে সরকার সবচেয়ে গুরত্ব দিচ্ছে। এজন্য ধান উৎপাদনের সেচ কাজে নিববচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া হবে। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে লোডশেডিংয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলেন তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় দুই কোটি। এরমধ্যে গত সাত বছরে ৯২ লাখ গ্রাহক করা হয়েছে। ২০০৯ সালের আগে বছরে গড়ে চার লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হত। এখন তা বছরে ১৩ লাখেরও বেশি।  গত সাত বছরে ৭৩টি নতুন  কেন্দ্র চালু হয়েছে। এখন দেশে একশতটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও পর্যায়ত্রক্রমে উৎপাদনে আসবে বলে তিনি জানান। রামপাল, মাতারবাড়ি, পায়রাসহ বড় বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও সন্তোষজনক ভাবে হচ্ছে।