গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার প্রথম প্রহর থেকে ফিলিং স্টেশন থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের দিন শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছিল।

শুক্রবার রাত ১২টার আগেই বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

কোনো কোনো স্টেশন নির্ধারিত সময়ের আগেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও কয়েকটি স্টেশন জানিয়েছে, তারা অপেক্ষমান গাড়ি থাকা পর্যন্ত সিএনজি দেওয়ার চেষ্টা করবে।

রাত ১২টার আগে আসাদগেটে সোনার বাংলা ফিলিং স্টেশনে কথা হয় জুলহাস নামে এক চালকের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “ইন্দিরা রোডে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গিয়েছিলাম। তখনও ১২টা বাজেনি। তবে তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। তেল নিয়ে এখন কিশোরগঞ্জ যাব।”

রামপুরা এলাকার দুটি সিএনজি স্টেশনের সামনেও ১২টার আগে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে মুগদাপাড়ায়ও।

মুগদাপাড়ায় শান্ত সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক বিনয় মজুমদার বলেন, সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেব। এরমধ্যে যারা আসবে তাদের গ্যাস দেওয়া হবে।

কল্যাণপুরে এরা ফিলিং অ্যান্ড সার্ভিস স্টেশনেও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেখানে ১২টার পরও গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করতে দেখা গেছে।
সুপারভাইজার জানান, তাদের কাছে নির্দেশনা এসেছে; তবে অপেক্ষমানদের গ্যাস দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র। দেশের উৎপাদিত মোট গ্যাসের প্রায় ৪৫ শতাংশই আসে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে।

ঈদকে সামনে রেখে ঈদের আগে থেকে পরের তিন দিনসহ মোট সাতদিন ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিলেও পরে বিবিয়ানার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।

এমনিতে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকে।

সারা দেশে ৫৭০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনে মোট গ্যাস সরবরাহের মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে।
– বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম