বাপেক্স-গ্যাজপ্রম যৌথ কোম্পানি হচ্ছে

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি করতে যাচ্ছে বাপেক্স। এজন্য দুুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ওয়াকিং গ্রুপ গঠন করা হবে। গ্রপটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশনসহ কোম্পানি গঠনের যাবতীয় কাজ করবে।তবে একাজ হবে শুধু সাগরে। স্থলভাগে নয়।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি বিভাগে গ্যাজপ্রমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ ও রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত ড. সাইফুল হক বক্তব্য রাখেন। দশ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন গ্যাসপ্রমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্ড্রে ফির্ক।
নসরুল হামিদ বলেন, তেল গ্যাস দ্রুত অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য বাপেক্সকে আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানিতে পরিণত করা হবে। দেশের স্থল ও জলভাবে অনুসন্ধানের পাশাপাশি বিদেশেও যাতে বাপেক্স কাজ করতে পারে সে জন্য বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে। মানব সম্পদ উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে পারে গ্যাসপ্রম।
আন্ড্রে ফির্ক বলেন, গ্যাসপ্রম বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে কাজ করতে ইচ্ছুক। বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি গঠন করে পিএসসির আওতায় স্থল ও সাগরে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উন্নয়ন, গ্যাস বন্টন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রযুক্তি, জরিপ, সাগরসহ বাংলাদেশসহ আশেপাশের দেশেও অনুসন্ধান চালাতে গ্যাসপ্রম সহযোগিতা করতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের গতি প্রয়োজনের তুলনায় খুব ধীর। গত ১০০ বছরে অনুসন্ধান ও উত্তোলন মিলে কূপ খনন করা হয়েছে ২০০টির কম। কিন্তু দেশের ভেতরে অনুসন্ধানের অনেক জায়গা পড়ে আছে। এক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) সাক্ষর করার চেয়ে যৌথভাবে কাজ করা গেলে অনেক ভালো ফল আশা করা যায়।
সূত্রগুলো বলেছে, ভারতে বর্তমানে ৬৯টি কোম্পানি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করছে। এর মধ্যে ওএনজিসিসহ ১০টি নিজস্ব। অন্য ৫৯টি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশীয় কোম্পানির যৌথ অংশীদারি কোম্পানি। মিয়ানমারে একটি মাত্র জাতীয় কোম্পানি। এর নিয়ন্ত্রণে ২২টি বিদেশি কোম্পানি কাজ করছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে জ্বালানি মজুদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা সরকারের জন্য অপরিহার্য। তাই অনুসন্ধানের কাজ ত্বরান্বিত করা দরকার। সরকার মনে করছে, বাপেক্স-গাজপ্রম যৌথ অংশীদারি কোম্পানির মাধ্যমে তার অনেকটাই সম্ভব হতে পারে।