গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে ক্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা (শনিবার, ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫):
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি এবং পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ – ক্যাব। ক্যাব জানিয়েছে, অপ্রয়োজনীয় খরচ কমালে ও সিস্টেম লস রোধ করা গেলে আর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।
শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাবের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেশে আমদানি পণ্যের অবাধ বাজার তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ক্যাব।
খরচ কমিয়ে ভর্তুকি কমানো সম্ভব কিন্তু সে পথ সরকার হাঁটছে না বলে মন্তব্য করেন শামসুল আলম। তিনি বলেন, অপচয়, সিস্টেম লস রোধ আর অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো গেলে আর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না।
আসছে গরমে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শামসুল আলম বলেন, শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অসনি সংকেত মনে হচ্ছে। এতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে আরও বাড়বে। দেশে শিল্প টিকবে না। উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ী হতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাবের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কি ধরনের ব্যয় হয়েছে তা তদন্ত করে প্রকাশ করা; ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জ্বালানি অপরাধীদের বিচার করা এবং বিইআরসিকে পুনর্গঠন করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভুইয়া ও সদস্য শওকত আলী খান বক্তব্য দেন।
এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন শুভ কিবরিয়া।
নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী বুধবার এ নিয়ে গণশুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
ইতিমধ্যেই শিল্প ও আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা ও গ্যাস সরবরাহ করা কোম্পানিগুলো।
আবেদনে শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম প্রায় দেড়শ’ শতাংশ বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আর আবাসিকে মিটারবিহীন গ্রাহকদের একচুলা মাসে ৯৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে গড়ে এক হাজার ৩২১ টাকা এবং দুই চুলা এক হাজার ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩৯৩ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।