গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে তা এখনই নয়
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়বে নাকি কমবে তা বলতে পারবো না।
বৃহস্পতিবার বিইআরসি কার্যালয়ে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত গণশুনানী শেষে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, গত ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া শুনানীতে যেসব মতামত পাওয়া গেছে তা যাচাই করা হবে। এরপর সব কিছু মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বৃহষ্পতিবার পেট্রোবাংলা তাদের গ্যাসের দাম ৯৪ দশমিক দুই ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এ সময় বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি জানায় যে, পেট্রোবাংলা গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা এফডিআর করে রেখেছে। অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ার কোনো যুক্তিও দিতে পারেনি। অন্যদিকে পেট্টোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তিতে জানায়, গ্যাস বিক্রির কর ও মূসক বাবদ ১৪০ কোটি টাকা প্রতি মাসে সরকারকে দিচ্ছে এবং একই সময়ে বিদেশি গ্যাস কোম্পানিরগুলোর গ্যাস কেনার জন্যও তাদের টাকা দিতে হচ্ছে। বর্তমানে পেট্রোবাংলাকে এই বাবদ ৭০ কোটি টাকা দিতে হয়। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন আইন অনুযায়ি সরকারকে তাদের আয়ের ৮৩ ভাগ মুসক ও শুল্ক বাবদ দিতে হবে।
ভোক্তাদের পক্ষে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নুরুল ইসলাম বলেন, পেট্রোবাংলার অর্থনৈতিক হিসেব যেভাবে করা হয় তা ঠিক পদ্ধতি নয়। পাইকারি গ্যাসের দাম ঠিক না করেই গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, যদি পেট্রোবাংলার প্রস্তাব অনুযায়ি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে পেট্রোবাংলাকেও একইহারে মুসক ও শুল্ক দিতে হবে।
সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকারি সংস্থাগুলো গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে কোনো যুক্তিই দেখাতে পারেনি। এ অবস্থায় যদি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে তা সাধারণ মানুষের জন্য চরম ভোগান্তি তৈরি করবে। পাশাপাশি সরকারের প্রতিও মানুষের আস্থা থাকবে না।