গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে গণশুনানি আজ থেকে
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর আজ সোমবার থেকে গণশুনানী শুরু হচ্ছে। আজ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির (জিটিসিএল) শুনানী হবে। অর্থাৎ গ্যাস সঞ্চালনের চার্জ বাড়ানোর উপর শুনানী হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আগে থেকেই এই সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে এ শুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
কবে কার শুনানি: আগামী ১১ই জুন গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির (জিটিসিএল), ১২ই জুন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (তিতাস গ্যাস), ২০শে জুন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির, ১৯শে জুন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির, ২০শে জুন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির এবং ২১শে জুন সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর শুনানি হবে।
শুনানিতে ভোক্তা অধিকার সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, শিল্পমালিক, ভোক্তা প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্নজন মতামত উপস্থাপন করতে নাম অন্তভূক্ত করেছে।
বিদ্যুৎ, সিএনজি ও শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উপর গণশুনানী হবে।মার্চ মাসে গড়ে ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব দেয় গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো। আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়নি তারা।
বিতরণ কোম্পানিগুলো আলাদা আলাদা প্রস্তাব দিলেও একই হারে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিট তিন টাকা ১৬ পয়সা থেকে নয় টাকা ৪৮ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সার কারখানার গ্যাসের প্রতি একক দাম দুই টাকা ৭১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৮০ পয়সা, শিল্প-কলকারখানায় সাত টাকা ৭৬ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা, সিএনজির দাম প্রতি একক ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৮ টাকা করার আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাসের দাম প্রতি একক নয় টাকা ৬২ পয়সা থেকে ১৬ টাকা এবং চা বাগানে সাত টাকা ৪২ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। দুই ধাপে গড়ে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ায় বিইআরসি। প্রথম ধাপে ১লা মার্চ এবং দ্বিতীয় ধাপে ১লা জুন।