গ্যাসের দাম বাড়ালে আন্দোলনের হুমকি বাম মোর্চার
গ্যাসের দাম বাড়ালে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ হুমকি দেন। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে থেকে মোর্চার নেতারা মিছিল সহকারে জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে এলে কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অগ্রসর হয়।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক ম-লীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক।
নেতারা বলেন, গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লাভজনক অবস্থায় আছে। কোনো যুক্তিতেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনা আসতে পারে না। সরকারের দুর্নীতির অর্থ যোগান দেয়ার জন্য জনগণের পকেট কেটে দাম বাড়াতে চাইলে সব প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যেই দাম ঘোষণা করার কথা। এই সময় পার হয়ে গেছে। এখন দাম বাড়লে তা বেআইনি হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গ্যাসের দাম ফলে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ পড়বে। কারণ গ্যাসের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়াসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে।
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, সরকার অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণকে জিম্মি করতে চাইছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।