গ্যাস সংকটে বিদ্যুতে লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আবার বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কয়েক দিন মাঝে মাঝেই লোডশেডিং হচ্ছে। কয়েকদিন ধরেই রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে।
লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পাতায় দেওয়া এক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে। যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য সব দেশের মতো আমাদেরকেও সমস্যায় ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।”
জ্বালানি স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যায় ৮০০ থেকে ৯০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হচ্ছে। ১৪ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে গড়ে উৎপাদন ১৩ হাজার ৪৫০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা ২২৫ কোটি ঘনফুট। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে ৯৬ কোটি ঘনফুট। সার উৎপাদনেও প্রয়োজনের অর্ধেক গ্যাস দেয়া হচ্ছে।
এলএনজি আমদানি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
পেট্রোবাংলার হিসাবে, একশ’ কোটি ঘনফুট এলএনজি আনার কথা থাকলেও আসছে ৫০ কোটিরও কম। অন্যদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্পর্ট মার্কেট থেকে এলএনজি না কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।
দৈনিক প্রায় ৪শ’ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ২৫০ কোটি।