গ্যাস সংকট বেড়েছে

গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় ভোগান্তিতে রাজধানীসহ দেশবাসী। এলএনজি আমদানি কমানোতে এই সংকট বেড়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্বাভাবিকের চেয়ে এলএনজির দাম দ্বিগুণ। তাই স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনা হয়নি। এলএনজির দাম টন প্রতি ৩০ ডলার বেড়েছে। এজন্য এলএনজি সরবরাহ কমে গেছে। গত কয়েকদিন এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এ মাসের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ ৬০ কোটি ঘনফুট বাড়ানো হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর আজিমপুর, পূর্ব রাজাবাজার, জিগাতলা, মোহাম্মপুর, আদাবর, ভাটারা, বাড্ডা, গেন্ডারিয়া, তুরাগ, উত্তর খান, দক্ষিণ খান, মিরপুরের কিছু অংশ, পল্লবী ও পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় সংকট বেশি হচ্ছে।
দেশে গ্যাসের চাহিদা ৩৭০ কোটি ঘনফুট। পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ কোটি ঘনফুট। প্রায় ৬০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানি করলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়। জানুয়ারিতে এলএনজি আমদানি ছিল ২০ কোটি ঘনফুট আর এখন হচ্ছে ৪০ কোটি। আরও ২০ কোটি ঘনফুট আমদানি বাড়ালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আরপিজিসিএল গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে স্পট মার্কেট থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার কিউবিক মিটার করে এলএনজি দুটো চালান আদেশ বাতিল করে দিয়েছে।