গ্যাস সংযোগ বন্ধ তবু গ্রাহক বাড়ছে: তিতাসে তদন্ত কমিটি
গ্যাসের গ্রাহক বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করেছে তিতাস গ্যাস। কমিটিকে আগামী ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সাত সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) মো. আমিনুল ইসলামকে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড সূত্র জানায়, গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও প্রতিনিয়ত গ্রাহক বাড়ছে। বাড়ছে গ্যাসের ব্যবহার। কীভাবে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে তা খতিয়ে দেখতে এই কমিটি করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ি ২০১৭ সালে প্রায় সাত রাখ গ্রাহক বেড়েছে। এছাড়া অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের চাহিদা বাড়িয়ে নিয়েছে। এতে গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে।
সরকারের আদেশ অনুযায়ি গত সাত বছর গ্যাস সংযোগ বন্ধ আছে। শুধু কিছু শিল্পে সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে তাও বিশেষ কমিটির মাধ্যমে। আবাসিক সংযোগ দেয়া সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। নিয়ম অনুযায়ি সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও গ্রাহক সংখ্যা বাড়তেই আছে।
এরআগে অবৈধ গ্রাহক বাড়তে থাকলে ২০১৩ সালে তা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। তারপর আবার সংযোগ দেয়া পুরো বন্ধ করা হয়। কিন্তু সেই বন্ধের পরও বন্ধ থাকেনি সংযোগ। সেই অবৈধ গ্রাহকদের বৈধ করার প্রক্রিয়া চার বছর পর এখনও চলছে।
তিতাসের প্রতিবেদন অনুযায়ি, এক বছরে গ্রাহক সংখ্যা ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে জুন পর্যন্ত আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৬ হাজার ১৩। ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৬। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে গ্রাহক বেড়েছে সাত লাখ ১১ হাজার ৫২৩।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭ হাজার ১৮ মিলিয়ন ঘন মিটার গ্যাস বিক্রি করেছে। যার মূল্য ১২ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। এ থেকে প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৫০৬ কোটি টাকা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের উর্দ্ধতন একজন কর্মকর্তা বলেন, তিতাসের তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে বলে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। তিতাসের ২৬টা আঞ্জলিক কার্যালয়। এ কার্যালয়ের সাথে সমন্বয়ের অভাব ছিল। এখন সমন্বয় হয়েছে বলে এমন তথ্য এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭২টা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস কারচুপি/অবৈধ সংযোগের কারণে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ৪২টা আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।