গ্যাস সঞ্চালন মাশুল বাড়ানোর প্রয়োজন নেই
গ্যাস সঞ্চালন মাশুল বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। তবু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ নিতে চাইছে গ্যাস সঞ্চালন কোম্পানি। দাম বাড়িয়ে এই অর্থ নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সোমবার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) গ্যাস সঞ্চালনে চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গনশুনানী করেছে বিইআরসি। কাওরানবাজার টিসিবি মিলনায়তনে এই শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানীতে বিইআরসি মূল্যায়ন কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিঘনমিটারে সঞ্চালন মাশুল ১৩ পয়সা হলেই লাভ হয়। তবু নেয়া হচ্ছে ৩২ পয়সা। অথচ মাশুল আরও ১৫ পয়সা বাড়িয়ে ৪৭ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে জিটিসিএল। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে কর দেয়ার পর ৪২৫ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে।
শুনানীতে বলা হয়েছে, জিটিসিএল বিইআরসির আদেশ মানছে না। ২০০৯ সালে কমিশন সঞ্চালন মাশুল ২৯ পয়সা নির্ধারণ করে দিলেও ২০১০ থেকে ৩২ পয়সা করে নিচ্ছে। এ বিষয়টি কমিশন জানেনা। এছাড়া কোম্পানির নানা অনিয়ম ও অপব্যয়ের কথা আলোচনায় এসেছে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য সবাই প্রতি বছর উৎসাহভাতা হিসেবে প্রায় চার লাখ টাকা নিচ্ছেন। বার্ষিক সাধারণ সভার নামে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছে।
এবিষয়ে শুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, নিজের পকেটের টাকায় কখনও শেরাটন হোটেলে খেয়েছেন! খান-নি। তাহলে কোম্পানির এজিএম শেরাটনে করলেন কেন? ভোক্তার টাকায় উল্লাস করার অধিকার কে দিয়েছে?
গণশুনানি পরিচালনা করেছেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান এ আর খান। উপস্থিত ছিলেন সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, মাকসুদুল হক ও রহমান মুরশেদ।
শুনানীতে গ্রাহকদের পক্ষে ক্যাব এর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, গ্যাস সঞ্চালনে লাভ হচ্ছে। তবুও দাম বাড়ানোর কোন যুক্তি নেই।
প্রতিবছর ব্যাংকের স্থায়ি আমানত (এফডিআর) বাড়ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এফডিআর এর পরিমাণ ছিল ৯৪৪ কোটি টাকা। তারআগের বছর ২০১২-১৩ তে এর পরিমাণ ছিল ৮১৮ কোটি টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে জিটিসিএল পরিচালক (অর্থ) শরিফুর রহমান জানান, প্রত্যেক বোর্ড সভায় উপস্থিতির জন্য সদস্যদের ছয় হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’র প্রস্তা্বের ওপর শুনানি হবে।