গ্রিড বিপর্যয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

দেশের ৩৮ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী (ট্রান্সিমিশন-২) মো. কামরুল হাসানকে প্রধান। এদিকে সন্ধ্যার পর কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাই ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত।
পিজিসিবি’র সহকারী ম্যানেজার (জনসংযোগ) এ বিএম বদরুদ্দোজা খান জানান, তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ সঞ্চালন লাইন মেরামতের মধ্যেই ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দিলে গত রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলের ৩৮ জেলার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গ্রামাঞ্চল এখনো অন্ধকারে। বদরুদ্দোজা খান জানান, জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে দুইটি ২৩০ কেভি ক্ষমতার সঞ্চালন লাইন আছে। একটি আশুগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জে, আরেকটি ঘোড়াশাল থেকে ঈশ্বরদীতে। তিনি জানান, ঝড়ে আশুগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ লাইনের টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঘোড়াশাল থেকে ঈশ্বরদী লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এ লাইনটি ওভারলোডের কারণে ট্রিপ করে। ফলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওয়েস্টার্ন গ্রিড ইস্টার্ন গ্রিড থেকে আলাদা হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকার প্রায় সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।