চট্টগ্রামে এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি

বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে এবার এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে। প্ল্যান্টটি চট্টগ্রামে স্থাপন করা হবে। এজন্য ইন্ডিয়ান অয়েল লিমিটেডের (আইওএল) সঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন সমঝোতা চুক্তি করেছে।

সোমবার হোটেল রেডিসনে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ভারতের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা চুক্তির পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নসরুল হা‌মিদ বলেন, ভারত এই এলপিজি প্ল্যান্ট থেকে তাদের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ শিগগিরই গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান জরিপ পরিচালনা করবে। জরিপ পরিচালনাকারী যানগুলোর স্থলসীমা লঙ্ঘন করার প্রয়োজন পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তা চাওয়া হলে ভারত সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ।

india lpg sign

ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সহযোগিতার বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরও এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন. মোদিজী ও শেখ হাসিনা দু’জনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে উদার। একত্রে কাজ করতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, গতকাল সকাল থেকে ওই হোটেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে আরও একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারতের শিলিগুড়ির নূমালিগড়ে অবস্থিত আইওএলের শোধনাগার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে জ্বালানি তেল (মূলত ডিজেল) আমদানি করবে বাংলাদেশ।

এছাড়া দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগে সম্মত হয়েছে ভারত। বাংলাদেশে স্থলভিত্তিক ও ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল করতে ভারত আগ্রহ দেখিয়েছে। ত্রিপুরা থেকে গ্যাস আনার জন্য ভারতের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এসব বিষয় আগামী জুনে অনুষ্ঠিত দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে।