চট্টগ্রামে গ্যাসনির্ভর সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

চট্টগ্রামে গ্যাসনির্ভর সরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ আছে। বরাদ্ধ থাকা গ্যাস সার কারখানায় দেয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ আছে।

আবার করে গ্যাস সরবরাহ করা হবে তা এখনও অনিশ্চিত। এতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ সংকট বেড়েছে।

সূত্র জানায়,  ২রা ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে রাউজানের দুটি ইউনিট, শিকলবাহায় ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ।
চট্টগ্রামে গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রর চারটি ইউনিটে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১৫ কোটি ঘনফুট। এসব কেন্দ্রে ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।

চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট। আর দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ২৩ কোটি ঘনফুট। চট্টগ্রামের গ্যাসের বড় গ্রাহক কাফকো ও সিইউএফএল। এই দুই সার কারখানায় দৈনিক ১১ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা আছে। কাফকোতে চার কোটি ঘনফুট আর সিইউএফএলে আড়াই কোটি ঘনফুট। সিইউএফএল দুই বছর বন্ধ রাখার পর গত ২৬শে জানুয়ারি চালু করা হয়েছে। তবে এখনো উৎপাদনে যেতে পারেনি।
রাউজানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রর দুটি ইউনিটের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪২০ মেগাওয়াট। এতে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে নয় কোটি ঘনফুট। গ্যাস সংকটে গত কয়েক বছর একটি ইউনিট চালু রাখলে অপরটি বন্ধ রাখতে হয়। এতদিন দুই নম্বর ইউনিট চালু ছিল। সেটি থেকে দৈনিক ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উৎপাদন হতো। একটি ইউনিটে চাহিদা অনুপাতে গ্যাস বরাদ্দ পাওয়া যেত না। শিকলবাহায় ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ আছে। এখানে ১৫০ মেগাওয়াটের সান্ধ্যকালিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডিজেল দিয়ে উৎপাদনের সুবিধা আছে।

৬০ মেগাওয়াটের ইউনিটের মেরামত কাজ করার পর কয়েকদিন চালু ছিল। ১৫০ মেগাওয়াট গত এক মাস গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পিডিবি’র চাহিদা অনুপাতে ডিজেল দিয়ে মাঝে-মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।