চট্টগ্রামে ঘনবসতি এলাকায় এলপি গ্যাস কারখানা
চট্টগ্রামে ঘনবসতি এলাকায় এলপি গ্যাস কারখানা স্থাপন করায় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর এই অনুমোতি দিয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি’র আশঙ্কায় পড়েছে এলাকাবাসী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজারের পাশে মান্দারীটোলা ও নডালিয়া গ্রাম। দুই গ্রামে ৩০ হাজার মানুষের বাস। এখানে ১১টা এলপি গ্যাস কারখানার অনুমোতি দেয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেএমআই সিলিন্ডার লিমিটেডকে কারখানা স্থাপনের অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। এ কারখানায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরি করা হবে। এই কারখানা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কারণ কারখানা নির্মান হচ্ছে মান্দারীটোলা গ্রামের ঘনবসতি এলাকায়।
ইতোমধ্যে কারখানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সামনের খালে বক্স কালভার্ট নির্মাণের কাজ। গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন, জেএমআই কর্তৃপক্ষ সরকারি খালের ওপর সীমানা প্রাচীর করেছে। এতে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কারখানাটিতে ইস্পাত কাটা, ঝালাই, পরিবহন ইত্যাদি কাজের জন্য শব্দদূষণ মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাবে। হিট ট্রিটমেন্ট ওভেন এবং ৫০ ফুট উচ্চতার চিমনির বর্জ্য ও ডাস্ট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করবে। চিমনির বর্জ্যের কারণে জমির ফসল এবং বৃক্ষের ফলফলাদি নষ্ট হতে পারে।
স্থানীয়রা এই কারখানার অবস্থানগত সনদ বাতিলের পাশাপাশি কারখানা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কারখানাটি নির্মিত হচ্ছে একেবারে গ্রামের মাঝখানে। আগের যেসব কারখানা অনুমতি পেয়েছে তাদের অবস্থান লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় সেগুলো নিয়ে গ্রামবাসীর তেমন উদ্বেগ ছিল না। কিন্তু বর্তমান কারখানাটি একেবারে লোকালয়ের মধ্যে হওয়ায় সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেএমআই সিলিন্ডার লিমিটেডের কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় কারখানা স্থাপন করছি।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা বলেন, গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন স্থানে শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয় না।
ইতোমধ্যেই এই দুই গ্রামে এলপি গ্যাস বোতলজাত করার অনুমতি পেয়েছে বিএম এনার্জি লিমিটেড, ইউনিভার্সেল এলপিজি লিমিটেড, ইউরো গ্যাস, জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস, সিনার্জি পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, রয়েল এলপিজি লিমিটেড, এসকিউ এলপি গ্যাস লিমিটেড, ক্যাপিটাল এলপি গ্যাস লিমিটেড, বে এলপি গ্যাস লিমিটেড, অর্কিড এলপি গ্যাস ও ক্রিস্টাল এলপিজি।