চট্টগ্রামে ৩৫০ শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস দেয়া হচ্ছে
চট্টগ্রামে ৩৫০ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে। ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার শিল্পেরও আগামী বছর গ্যাস দেয়া হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিল্পে এই গ্যাস দেয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার পেট্রোবাংলার হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা জানান।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, বিপিসির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমতুল মুনিম, পেট্র্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে এলএনজি নিয়ে আরপিজিসিএল এর ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এবং গ্যাসের পাইপলাইন নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মনিরুজ্জামান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের ভেতরে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি করেও চাহিদা পুরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য স্থলভাগে গ্যাস আহরণ তরান্বিত করা হচ্ছে। একই সাথে সাগরেও গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ বাড়ানো হয়েছে। বিদেশ থেকে এলএনজি’র পাশাপাশি জ্বালানি তেল আমদানিও বাড়ানো হচ্ছে। ইস্টার্ণ রিফাইনারিকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পরিশোধিত তেল আমদানি কমিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্ভাবনী ও সাহসী হতে হবে। সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
জ্বালানি সচিব বলেন, চট্টগ্রামে ৩৫০ শিল্প কারখানা গ্যাস সংযোগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের শুরুতেই এসব গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। এলএনজি আমদানির মাধ্যমে এই চাহিদা পুরণ করা হবে। তিনি বলেন, সাভারের ট্যানারিগুলোতেও গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। বতর্মানে গ্যাসের জন্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী এক বছর পর এই বাধা থাকবে না। তিনি বলেন, বিপিসি এক সময় লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। সেই সময় বিপিসি বেশি দামে কিনে কম দামে জ¦ালানি তেল সরবরাহ করত। আর সেটা না করলে দেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান লোকসান দিতো। বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাগরে জরিপের জন্য ভেসেল কেনা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাহসিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ খুবই কম দামে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনতে পেরেছিলেন। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার কারণে দেশের তিনটি বড় গ্যাসক্ষেত্র কেনার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রবন্ধে জানানো হয়, দেশে তিনটি পাইপলাইন হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে। এতে খরচ কমবে।
এলএনজি বিষয়ক প্রবন্ধে বলা হয়, এলএনজি আমদানি করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করা হচ্ছে। কাতারের সাথে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি হচ্ছে। মন্ত্রিসভা কমিটিতে এই চুক্তি করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে।