চলছে নাইকো মামলার শুনানী
আন্তর্জাতিক আদালতে নাইকো মামালার চূড়ান্ত শুনানী চলছে। সোমবার শুনানী শুরু হয়েছে, শুক্রবার শেষ হবে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সংশ্লিষ্ঠরা বর্তমানে মামলা পরিচালনায় লন্ডন অবস্থান করছেন।
জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ মামলাটি কানাডীয় কোম্পানি নাইকো রিসোর্স করেছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের বিরুদ্ধে। যদিও বাংলাদেশই ছিল ক্ষতিগ্রস্থ।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ লণ্ডন যাওয়ার আগে এনার্জি বাংলাকে বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। শুনানীর সময় নতুন করে সকল তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।
নাইকো আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ২০১০ সালের ১২ই এপ্রিল এবং ১৬ই জুন দুটি মামলা করে। একটি গ্যাসের বকেয়া বিল আদায় সংক্রান্ত (আরবি/১০/১৮) অন্যটি টেংরাটিলা বিষ্পোরণের ক্ষতিপূরণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে (আরবি/১০/১১)।
মামলা পরিচালনার জন্য নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইনী প্রতিষ্ঠান ফলে হগ এলএলপিকে (ওয়াশিংটন ডিসি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ছাতকের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দুই দফা অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে নাইকোর কাছে ৭৪৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে পেট্রোবাংলা। নাইকোর গাফিলতির জন্যই এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে বাপেক্স দাবি করে। কিন্তু ক্ষতির পরিমান ও গাফিলতি নিয়ে মতভেদ হয়। নাইকো ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা দাবি করে এবিষয়ে তাদের কোন গাফিলতি হয়নি। এই ক্ষতিপূরন দেবে না বলে নাইকো লণ্ডনে বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে (ইকসিড) মামলা করে। একই সাথে বাপেক্স ও এই ক্ষতি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের ফেণি গ্যাসক্ষেত্রর পাওনা অর্থ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থানীয় আদালতের রায়ের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্থানীয় আদালতে মামলাটি এখনও চলছে। এই অর্থ আদায়ের জন্য নাইকো আরও একটি মামালা করে বাপেক্সের বিরুদ্ধে।