চাইলেই শিল্পে গ্যাস
চাইলেই শিল্পে গ্যাস পাবে উদ্যোক্ত। এখন আর আবেদন করে অপেক্ষা করতে হবে না। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ঠরা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম এলাকায়।
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির পর সরকার
শিল্পে গ্যাস সংযোগ দিতে এতটাই উদার হচ্ছে।
এরআগে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে দুই হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। সে বৈঠকেই পর্যায়ক্রমে সকল শিল্পে গ্যাস দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এনার্জিূ বাংলাকে বলেন, আমদানি করা এলএনজি শিল্পে দেয়া হবে। শিল্পখাতে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করতেই এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। গ্যাসের জন্য কোন শিল্প কারখানা আর বন্ধ থাকবে না।
এদিকে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আসার পর গত দুই দিনেই অনেক শিল্প উদ্যোক্তা সংযোগ নেয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। আর মন্ত্রনালয় থেকেও তাদেরকে গ্যাস দেয়ার বিষয়ে আসস্ত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে এতদিন গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করা হয়। তখন থেকেই এই কমিটির বিবেচনায় কিছু সংযোগ দেয়া হয়েছে।
গত কয়েকবছরে আড়াই হাজারেরও বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্যাস সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। নতুন যে দুই হাজার গ্যাস সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় তারমধ্যে এক হাজার একশ আছে তিতাস গ্যাস এলাকায়।
এর আগে পাঁচ বছর বিরতি দিয়ে গত বছর ২৫০ শিল্পে নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে অনেকে অবৈধভাবে সংযোগ নিয়েছেন। অনেকে চাহিদা বাড়িয়ে নিয়েছেন।
নতুন যেসব শিল্পে গ্যাস দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে তার সবই এলএনজি আমদানি’র উপর নির্ভর করে। এখন থেকে নিয়মিত এলএনজি আনা হবে। আর তার গ্রাহক নিশ্চিত করতেও নতুন সংযোগ দেয়া হবে।
৩৩০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরিতে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ঘাটতি মেটাতে এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।