চার বিদ্যুৎ কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে
বনলতা সেনের নাটোরসহ কয়েকটি জেলায় একসাথে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ছয়টি বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মোট ৩১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সব থেকে উচ্চ ক্ষমতার গ্রিড লাইন উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধন করা হবে তেল ভিত্তিক তিনটি এবং গ্যাস ভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।নাটোর ৫২ মেগাওয়াট, গগননগর ১০২, ঘোড়াশাল ১০৮ এবং কাঠপট্টি, মুন্সিগঞ্জ ৫২ মেগাোয়াটের কেন্দ্র।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে এদিন মেঘনাঘাট-আমিনবাজার ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও রাজধানীর লালবাগে নরনির্মিত ১৩২/৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন উদ্বোধন করা হবে।এত উচ্চক্ষমতার সঞ্চালণ লাইন বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
গতকাল শনিবার নাটোর ৫২ মেগাোয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করে এতথ্য জানা গেছে।
নাটোর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গতবছর জানুয়ারিতে প্রধম বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। তখনথেকেই উত্তরাঞ্চলে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদামত প্রায় প্রতিদিন ২৪ঘন্টাই ৫২ মেগাোয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে এখান থেকে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নীতিমালায় এই কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
কেন্দ্রটিতে মোট ছয়টি ইউনিট আছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৮দশমিক ৯ মেগাওয়াট। এখানে এক কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হবে গড়ে প্রায় ১৫ টাকা। এই কেন্দ্র ৩০ মিনিটে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে যেতে সক্ষম। আবার ১০ মিনিটে বন্ধ করা সম্ভব।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক লংকা তিলকারত্নে বলেন, ্ কেন্দ্র থেকে উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। কৃষি, শিল্পসহ সকলে যথাযথ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বাঙলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
নাটোর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য শ্রীলংকার এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন প্রসঙ্গে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো: মশিউর রহমান বলেন, সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিো কনফারেন্স করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। এই বিদ্যুতে নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলে আর লোডশেডিং হবে না বলে তিনি আশা করেন।
বর্তমানে ৭১ শতাংশ জনগোষ্ঠি বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। মোট গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি ৬৭ লাখ। ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পিডিবি জানিয়েছে, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট। আর গীষ্মকালে সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট। তবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে সাত হাজার ৫৭১ মেগাওয়াট।
বর্তমানে ৯১ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৭৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি করেছে। এরমধ্যে উৎপাদনে এসেছে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ৬৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।