চীনের সাথে পায়রা বিদ্যুৎসহ ২৭ চুক্তি ও সমঝোতা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকের পর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ২৭টি বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিরা চুক্তি ও সমঝোতায় সই করেন। একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে ছয়টি প্রকল্প।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য এক দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, বাঁশখালি এক হাজার ৩২০মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য এক দশমিক সাত ডলার এবং ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত করতে এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার কথা চীনের। এরমধ্যে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চিনের এক্সিম ব্যাংক ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। এর সুদের হার হবে দুই শতাংশের কিছু বেশি। ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত করতে এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছে।
আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্ট এয়ার চায়নার একটি বিশেষ ফ্লাইটে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন থেকে ঢাকায় পৌঁছান। তাঁকে বহনকারী চীনের বিশেষ বিমানটি বাংলাদেশের আকাশসীমায় এসে পৌঁছালে সেটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসে বিমানবাহিনীর দুটি জেট বিমান। বিশেষ ফ্লাইট থেকে বিমানবন্দরে নেমে এলে তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
চিন পিং ঢাকায় ৭৯ সদস্যের চীনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে আছেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর (সিসিসিপিসি) সদস্য ওয়াং হুনিং ও লি ঝানশু, স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জেইচি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের মন্ত্রী সু সাউসি, অর্থমন্ত্রী লাউ জিউই, বাণিজ্যমন্ত্রী গাউ হুচেং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ঝাউ শিয়াওছুয়েন প্রমুখ।