চীনের সাথে বিদ্যুতের একাধিক চুক্তি: হবে হাসিনা-শি জিন বৈঠক
বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহে চীন একাধিক প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে এই চুক্তি হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এতথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আটটা চুক্তি হওয়ার কথা আছে। এরমধ্যে চারটা বিদ্যুতের। এগুলো হলো, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)’র আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে গভর্নমেন্ট কনসেশনাল ঋণ চুক্তি। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ঋণ চুক্তি। এবং পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালি করতে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি।
চীনের ডালিয়ানে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের বার্ষিক সভায়ও বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা। ‘সামার দাভোস’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই সভায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, একাডেমি ও সাহিত্য-সংস্কৃতির ১৮০০ এর বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ৫ই জুলাই বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রী ৪ঠা জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াংয়ের সঙ্গে হবে বৈঠক।
প্রররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের বাংলাদেশের পাশাপাশি মিয়ানমারেও বিনিয়োগ আছে। এই বিনিয়োগ ঘিরে তাদের প্রত্যাশাও রয়েছে। বিষয়টি অমীমাংসিত থাকলে তাদের ওই প্রত্যাশায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য যে বিষয়ে চুক্তি হবে তাহলো, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি। ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রæপ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতা স্মারক। ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা। এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক।