চীন ও তাইওয়ানের সোলারে যুক্তরাস্ট্রের শুল্কারোপ

পরমাণু শক্তি কমিশন কার্যালয়ের সামনে সৌর প্যানেল

চীন ও তাইওয়ানের সোলার প্যানেল এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর নতুন আমদানি শুল্ক ধার্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ দুটি দেশের পণ্য অতিরিক্ত কম মূল্যে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়। খবর রয়টার্স।
এর ফলে চীনের ট্রিনা সোলারকে আমদানি শুল্ক হিসেবে দিতে হবে ৩০ শতাংশ এবং সানটেক পাওয়ারের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৫০ শতাংশ। তাইওয়ানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হবে মোটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে।
সম্প্রতি সোলারওয়ার্ল্ডসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানে চীনা সামরিক কর্মকর্তাদের সাইবার-স্পাইংয়ের অভিযোগে দুই দেশের মাঝে শিথিল সম্পর্ক বিরাজ করছে। নতুন এ আমদানি শুল্কের কারণে তা আরো নাজুক অবস্থানে চলে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সোলারওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে গড়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক সর্বোচ্চ ৪৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে। ২০১২ সালে এ শুল্কের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৩১ শতাংশ।
সৌর প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মুকেশ দুলানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি মার্কিন সোলার উত্পাদন শিল্পের প্রসারে সহায়তা করবে। কম দামি বিদেশী পণ্য এমনকি চীন সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’
চার বছর ধরে সস্তা চীনা পণ্যের আগ্রাসনে মার্কিন সোলার পণ্যের বাজার বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওদিকে ভারত মার্কিন ও চীনা সোলার পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও চীনা সোলার প্যানেলে শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছে।
সোলারওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, শুল্কের মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সোলার প্যানেল নির্মাতারা তাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু কোয়ালিশন ফর অ্যাফোর্ডেবল সোলার এনার্জি জানিয়েছে, যদি ভবিষ্যতে আরেক দফা দাম বাড়ে, তাহলে প্যানেল স্থাপনকারীরাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সৌরপণ্য আমদানি করে। ২০১১ সালে আমদানি করা হয় তার অর্ধেক মূল্যমানের পণ্য। একই সময় তাইওয়ান থেকে সৌরপণ্য আমদানি দ্বিগুণ হয়ে ৬৫৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।