চীন ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে বাংলাদেশকে

এবার বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে চায় চীন। চীন বাংলাদেশে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে। চীনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কুনমিং থেকে সরাসরি লাইন করে অথবা মিয়ানমারের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের জ্বালানিমন্ত্রী ইউ উই খাইং সোমবার এ প্রস্তাবের কথা জানান।
মিয়ানমারও বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের পেশাজীবীদের সমন্বয়ে যৌথ কার্যকরি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নসরুল হামিদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার জন্য গত রোববার থেকে মিয়ানমার সফর করছে। প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানি ও বিদ্যুতের আন্তগ্রিড সংযোগ তৈরির প্রস্তাব দেন, যার মাধ্যমে চীন থেকেও বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হয়।
চীনের প্রস্তাব বাংলাদেশের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে বলে জানা গেছে।
ভারত থেকে নতুন করে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে। আর এখন ৬০০ মেগাওয়াট আমদানি হচ্ছে। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে আরও দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়া ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মাণাধীন আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আনা হবে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। মেঘালয়সহ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে নির্মাণের প্রক্রিয়াধীন পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানির সুযোগ পাবে। নেপাল ও ভুটানের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমেও বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ পাবে

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন,  বিদ্যুৎ জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানো গেলে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে।

বাংলাদেশে যে উন্নয়ন চলছে তা অব্যাহত রাখতে প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন । মিয়ানমার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস রপ্তানি করতে পারে । বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের আন্তঃগ্রীড সংযোগ করা গেলে উভয় দেশ উপকৃত হবে । বাংলাদেশ চীন থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারবে। অন্যদিকে মিয়ানমারের সাথে চীন ও অন্যান্য আসিয়ান দেশের সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসায় বাড়বে।
মিয়ানমারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যেমন বিদ্যুৎ লেনদেন হচ্ছে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।

মিয়ানমারের বিদ্যুৎ জ্বালানি উপমন্ত্রী ড. তুন লাইং এ সময় উপস্থতি ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদশেরে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শফিউর রহমান, পিডিবি’র সদস্য (কোম্পানি এফেয়ার্স) মোস্তাফজিুর রহমান, পিজিসিবি’র নির্বাহি পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন ও বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আলাউদ্দিন।