নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামিট পাওয়ার লিমিটেডকে (এসপিএল) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সঙ্গে করা চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্যেই বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে|
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় দিয়েছে ।
বৃহষ্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়। একই সঙ্গে সরকারের কাছে সামিটের পাওনা বাবদ দাবি করা ৭৫০ কোটি টাকা পরিশোধের বিষয়ে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ।
আদালতে বিআরইবির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, মুরাদ রেজা, মেহেদী হাসান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। সামিট পাওয়ারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, তানজীব-উল আলম ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনটি কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সামিট পাওয়ার। কিন্তু বিআরইবি সামিটের দাবি করা বাড়তি দামের পরিবর্তে চুক্তিমূল্যে কোম্পানিটিকে বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করা অব্যাহত রাখে।
বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ও বাড়তি পাওনা টাকা আদায়ে বিআরইবির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সালিশি আদালতে মামলা করে সামিট পাওয়ার। সেই সময় বিআরইবির কাছে সামিটের দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। এ মামলায় ২০১৫ সালে কোম্পানিটির পক্ষে রায় দেয় সালিশি আদালত। পরে বিআরইবির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় পুনর্বিবেচনা করে বিইআরসি। এ রায়ও সামিটের অনুকূলে আসে।
এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট করে বিআরইবি। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করে। রুলে সালিশি আদালতের রায় ও সম্পূরক চুক্তির একটি ধারার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ২০১৭ সালের ১৭ই আগস্ট হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়। ফলে সালিশি আদালতের রায়ই বহাল থাকে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিআরইবির ঢাকা, কুমিল্লা ও নরসিংদী সমিতি।