২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ: প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একসাথে ছয় হাজার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে তিনি প্রায় ৫৩৫  মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহষ্পতিবার সকালে গণভবনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একসাথে ৫১ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় ৯০টি গ্রামে ৬ হাজার ২৮ পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলতি জুন মাসের মধ্যে কোটালীপাড়ায় শতভাগ মানুষের মধ্যে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দেয়া হবে। বর্তমানে সেখানে ৪৪ হাজার ৪৯৯টি পরিবারে বিদ্যুৎ সুবিধা আছে।
প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের কড্ডায় পিডিবি ও আরপিসিএল এর যৌথভাবে স্থাপিত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কুমিল্লার জাঙ্গালিয়ায় লাকধানাভি বাংলা পাওয়ার লিমিটেড এর ৫২ দশমিক ২ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামের পটিয়ায়ইসিপিভি চিটাগং লিমিটেড এর ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং গ্যাসভিত্তিক আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রথম তিনটি কেন্দ্রই ফার্নেস তেল ভিত্তিক।  কেন্দ্র চারটিই  বর্তমানে চালু আছে।
উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের মহাপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো, সে পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। ২০১৬ সালে ১৬ হাজার মেগাওয়াট, ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ নির্ধারণ করেছি।
প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছি। ১০০টি বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে এরই মধ্যে ৭৬ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি। যেসব এলাকায় গ্রিডলাইন নেই, সেখানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, যত দ্রুত এই মাতৃভূমিকে উন্নত করতে পারব, ততই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারবো।
গণভবনে মূল অনুষ্ঠানস্থলে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই- ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ভিডিও কনফারেন্সটি পরিচালনা করেন।